কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমাজকে বদলে দিতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের সেবা, পরিবহন, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ উন্নয়নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য ইতোমধ্যেই একটি গাইডলাইন ও টাইমফ্রেম প্রস্তুত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, বিদ্যমান প্রযুক্তিতে দেশের প্রযুক্তিপ্রাণ ৩৪ শতাংশ তরুণকে সফলভাবে এআই প্রয়োগের জন্য তৈরির মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যত উন্নয়নে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এআইয়ের যথাযথ প্রয়োগের জন্য আইসিটি বিভাগ ইতোমধ্যেই সুনির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্র নির্ধারণের মাধ্যমে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত জুম প্লাটফর্মে ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবায় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সয় বিষয়ক’ ২ দিনের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বজুড়েই এআই প্রয়োগের ঢেউ লেগেছে। বিভিন্ন শিল্প কারখানায় নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তির পাশাপাশি এআই ব্যবহার শুরু হয়েছে। অতিসম্প্রতি ইন্টারনেট অব থিংকসের সাথে আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স, বিগডেটা, ব্লক চেইন শব্দগুলো জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে। এ টার্মগুলো ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’
তিনি বলেন, প্রযুক্তি বিপ্লবে অনেক আগেই এআই নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এর প্রভাব আমাদের দেশেও আত্মপ্রকাশ করতে শুরু করেছে। বিশেষ করে সেবা, পরিবহন, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ খাতে এআই এর ফলপ্রসু প্রায়োগিক দিক চিহ্নিত করা হয়েছে।
সর্বোপরি ইতোম্যধ্যে রাইড শেয়ারিং, বাংলা চ্যাট বটের ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং, বিমান ও হোটেল বুকিং, রিয়েল টাইম ম্যাপিংসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে এর ব্যবহার শুরু হয়েছে, যোগ করেন তিনি।
টেকসই এআই ইকো সিস্টেম তৈরির উদ্যোগ নেয়া হযেছে জানিয়ে পলক বলেন, ৪র্থ শিল্পবিপ্লবে দারুণ প্রভাব ফেলবে এই এআই প্রযুক্তি। জনগণকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে এআই অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার যাথার্থতা, গতিময়তা ও দক্ষতা বাড়ায়।
এ কারণেই সরকার ইতোমধ্যেই ২৮টি হাইটেক পার্ক, ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করেছে। চট্টগ্রাম প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দেশের প্রথম বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এ উদ্যোগে ভবিষ্যত প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের এআই এর মতো কাটিং এজ প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দানের সুযোগ তৈরি করবে, বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন।
চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মালয়েশিয়ার মাল্টিমিডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের মালটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রধানগণ এবং দেশি-বিদেশি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জুম অনলাইনে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।